Sunday, 1 April 2012

চলুন ক্যারিয়ার গড়ি ফ্রিল্যান্সিংয়ে

আসসালামুয়ালাইকুম,
“ফ্রিল্যান্সিং” আধুনিক যুগের একটি প্রচলিত নাম। বিশেষ করে ইন্টারনেট ইউজারদের জন্য একটা হট টপিক। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক জরিপে আমাদের দেশ – এর বেশ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে এই কিছু দিন যাবত। এখন দেশে বসেই অন্য দেশের কাজ করে নিজেদের প্রয়োজনীয় টাকা আয় করতে পারছি। কিন্তু অনেক এ সফল না,যার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো ইংরেজী কম জানা, ধৈয্য কম , নিজের ক্ষমতার বাইরের কাজ করতে চাওয়া,কোন বিষয়ে কাজের অজানা ইত্যাদি।
বাহিরের দেশের লোকেরা অন্য দেশের মানুষকে ,মানে আমাদের মত গরিব দেশের দিয়ে কাজ করাচ্ছে তাদের ব্যয় কমানোর জন্য। ফলে তারা আমাদের মত লোকদের কাজ দেয়। কিন্তু প্রথম দিকে কাজের আবেদন করে যদি না পান তাহলে ভেঙ্গে পরবেন না। ভেঙ্গে না পড়ে নিজের সেরাটুকু দিয়ে যান, সব কাজ যে আপনি পাবেন এমনটি ভেবে বসা ঠিক হবে না।। ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সাররাও কাজে আবেদন করে খুব অল্প সংখ্যকই কাজ পায়ে। আপনি প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজেক্টে আবেদন করুন, ভালো কাজ পারলে এবং যে কাজ দিয়েছে তাকে বিভিন্ন স্যাম্পল দেখিয়ে কাজ পাবেন, তাছাড়া পাবেন না।

কথা না বারিয়ে মুল কথাই আসি।আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হলো আপনি যদি ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে আপনাকে যা যা করতে হবে—

১. ফ্রিল্যান্স রাইটারদের ইংরেজীতে দক্ষ হতে হবে, ইংরেজীতে ভালো দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে পারবেন না।এটি আপরিহায।ভালো ইংরেজী আপনাকে জানতেই হবে।
২.ফ্রিল্যান্স রাইটারদের কাজ হলো আরটিকেল রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, আরটিকেল রিরাইট ইত্যাদি, তারা অন্য কাজও করতে পারে।
৩.ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরুর প্রথমে সহজ বিষয়ে লিখুন, যা নিজেকে কঠিন কঠিন বিষয়ে লেখার জন্য চ্যালেঞ্জ করুন, এতে আপনার দক্ষতা ও আত্নবিশ্বাস বাড়বে।
৪.লেখার সময় গ্রামারের ঠিক আছে কিনা তার প্রতি বিশেষ নজর দিবেন।তাই বিভিন্ন গ্রামার চেকার টুল আছে, সেগুলো দিয়ে গ্রামার চেক করাতে পারেন।
৬.প্রফেশনাল আরটিকেল রাইটার যারা তারা সাধারণত বড় প্রজেক্ট করেন।কিন্তু আপনি প্রথমে সহজ বিষয়
নিয়ে লিখুন।
৭.আপনি সাধারণত ছোটখাট প্রজেক্ট যেমন ১০০-৩০০ আরটিকেলের কাজ করবেন, আপনি কতদিনে শেষ করতে পারবেন তা নিজে প্ল্যান করে নিয়ে তারপর আবেদন করবেন।
৮.কখনোই এমনটি ভাববেন না যে আপনি কপি পেস্ট করে আরটিকেল জমা দিবেন আর তারা এর জন্য আপনাকে টাকা দিবে।
৯.আরটিকেল রিরাইট করার কোন প্রজেক্ট পেলে সেটা ম্যানুয়ালি করবেন, কোন সফটওয়্যার বা ট্রান্সলেটর ব্যবহার করবেন না। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
১০. সবসময় কোন নির্দিষ্ট ধরণের লেখার কাজ করার চেষ্টা করবেন।
১১. আবেদনের পূর্বে যে বিষয়ের আরটিকেল রাইটিং এর আবেদন করেছে তার একটা ভালো মানের স্যাম্পল দিয়ে দিন।
১২. নিজেকে সবসময় অন্য লেখকের থেকে ভাল মনে করবেন।তবে অবশ্যই অতিরিক্ত আত্নবিশ্বাস নিয়ে বসে থাকবেন না।
১৩. ভালো মানের লেখা প্রদান করতে পারলে একি বায়ারের কাছে থেকে পরবর্তীতে আরো কাজ পেতে পারেন।
১৪. নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আপনার কাজ শেষ করে সেটাকে প্রদান করুন অথবা গ্রামার চেকার এবং স্পেল চেকার দিয়ে লেখার ভুল সংশোধন করুন।
১৫.যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ের বিভিন্ন ফোরাম এবং ব্লগ ভিজিট করুন এবং পড়ুন, এতে আপনার ধারণা ক্লিয়ার হবে।সে বিষয়ে পরিস্কার ধারনা রাখুন।
১৬. কখনোই লেখার মাঝে নিজের মতামত তুলে ধরবেন না।

১৭.নিজের ভুলগুলো খুজে বের করার চেষ্টা করুন।
১৮.অনেকেই কাজ পাওয়ার জন্য  এমন নিম্ন রেটে বিড করে দেখলে নিজেরই খারাপ লাগে।কাজের মান কমাবেন না।নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী রেট নির্ধারন করুন।
১৯.যার কাজ করবেন তার সমন্ধেও জেনে নিন।কারন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতেও  রয়েছে প্রতারকদের পদাচারনা।সুতরাং সতর্ক থাকুন।
আশা করি আপনি একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে পারবেন যদি উপরের টিপসগুলো মনে রেখে এবং মেনে চলুন।“ফ্রিল্যান্সিং” নিয়ে আবার পরে কথা হবে।তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে।সব জেনে বুছে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তাহলে সফল হতে পারেন।কিন্তু তাড়াহুড়ো করে কিছু না বুঝে কাজ করতে গেলে শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে।

No comments:

Post a Comment